ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লোহিত সাগরে কার্যক্রম শুরুর পর নতুন যোদ্ধা তৈরি করছে ইয়েমেনের হুথি সম্প্রদায়। প্রায় ২ লাখেরও বেশি নতুন যোদ্ধাকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধবিরতিতে চাপ দিতে এ কৌশল অবলম্বন করছে গোষ্ঠীটি। যোদ্ধারা বাব-আল মান্দেব প্রণালি দিয়ে সুয়েজ খালের দিকে যাওয়া ইসরাইল সংযুক্ত জাহাজগুলোকে বাধা দিচ্ছে এবং আক্রমণ করছে।

বিশ্লেষক এবং দলটিতে থাকা অন্যদের মতামত অনুযায়ী, ‘শত শত’ নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার আলজাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে তথ্য।

 

সম্প্রতি এত বেশি হুথি যোদ্ধা নিয়োগের ঘটনায় বেশ চিন্তিত বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আকস্মিক এই ঢেউ ইয়েমেনের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে আমূল পরিবর্তন করতে পারে। এমনকি ইয়েমেনের প্রায় দশকের গৃহযুদ্ধের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে যে কোনো সময় নষ্ট করে দিতে পারে। অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রকে টার্গেট করে এমন হামলা বরং যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে আরও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তবে এমন সব আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে হুথি কর্মকর্তা নাসর আল-দিন আমের বলেন, ‘শান্তির সুযোগ রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলতে পারি, আমরা ইহুদিবাদী, আমেরিকান এবং ব্রিটিশ শত্রুদের ছাড়া অন্য কোনো পক্ষকে আক্রমণ করার ইচ্ছা করি না কারণ তারা আমাদের আক্রমণ করছে। এমনকি আমাদের অন্য কোনো অভ্যন্তরীণ দলকে লক্ষ্যবস্তু করার কোনো উদ্দেশ্য নেই, যদি না তারা আমাদের জায়নবাদীদের পক্ষ নিয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা না করে।’

এদিকে লোহিত সাগরে এবার সাবমেরিন দিয়ে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথিরা। বৃহস্পতিবার হুথি গোষ্ঠীর এক শীর্ষনেতা এ ঘোষণা দেন। এত দিন হুথিরা কেবল বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়েই হামলা চালিয়ে আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন সাবমেরিন বা পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারে ‘টর্পেডো’ ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে তারা। লোহিত সাগর, বাব-আল মান্দেব প্রণালি, এডেন উপসাগরসহ বিভিন্ন অবস্থানে হামলা জোরদার করেছে ইয়েমেনের এ সম্প্রদায়। এবার একই অঞ্চলগুলোতে অন্যান্য জলজ অস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে ঠিক কোন ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। হুথি মুখপাত্র আব্দুল মালিক আল-হুতি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, ‘লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাব-আল মান্দেব এবং এডেন উপসাগরে অভিযান চলছে। এই অভিযানগুলো ক্রমেই বাড়ছে এবং তা খুবই কার্যকর।’